Friday 7 January 2011

অধিকারের বার্ষিক প্রতিবেদন : ২০১০-এ প্রতি তিন দিনে ১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার

বিশেষ প্রতিনিধি

গেল বছরটিতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রতি ৩ দিনে গড়ে একজন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গুম হয়েছেন ১৬ জন—আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে যাওয়ার পর যাদের খোঁজ কেউ পায়নি। ৪ জন সাংবাদিন নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ১১৮ জন। ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৯১ জন নারী ও শিশু। গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে ১৭৪ ব্যক্তি। মানবাধিকার সংস্থা অধিকার দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এক বছরের প্রতিবেদনে এ তথ্যগুলো উল্লেখ করেছে।
অধিকারের তথ্য অনুসারে ২০১০ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ছিল নাজুক। ২০০৯-এ ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এর শুনানিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানোর কথা বলেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তা অব্যাহতভাবে চলেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে অন্তর্কলহ, চাঁদাবাজি, টেন্ডার দখল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস ও অবৈধ হল দখলের মতো ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নির্যাতন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, রাজনৈতিক সহিংসতা, সভা-সমাবেশ বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি, গুম, গার্মেন্টস শ্রমিকদের নির্যাতন ও গ্রেফতার, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ২০১০ সালে।
অধিকারের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের ভূমি দখলসহ বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ চালিয়ে যাচ্ছে। দুটি দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সীমান্ত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত কয়েক দশক ধরে চরম সংযম প্রদর্শন করে এই সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু ভারত সরকার বা তাদের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর দিক থেকে কোনো আশাপ্রদ মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়নি। প্রতিনিয়ত সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর হাতে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা, নির্যাতন ও অপহরণের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ভারতের উওর-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন রাজ্যের ‘আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার’ আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত নেতাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে গ্রেফতারের পর ভারতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিজেদের জীবন রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে ‘আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার’ আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত এই ভিন্নমতাবলম্বী নেতারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ (১) এর গ অনুচ্ছেদে বলা আছে, “...রাষ্ট্র সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করিবেন।”
অধিকার-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ক্রসফায়ারে র্যাব এবং নির্যাতনের ক্ষেত্রে পুলিশ ছিল প্রধান অভিযুক্ত। সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন আইন-২০০৬-এর মাধ্যমে বিরোধীদের দমন এবং গোপনীয়তার অধিকারসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন করা হয়েছে। আদালত অবমাননা আইন ১৯২৬ এবং সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতা’র সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আইনি সংশোধনীর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে অকার্যকর, অগ্রহণযোগ্য ও নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়াস ছিল বছরজুড়ে।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা ২০১০ সাল জুড়েই অব্যাহত ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন ভঙ্গ করে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, বিপ্লবী বামপন্থী এবং নিরীহ ব্যক্তিদেরকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে। ২০১০ সালে ১২৭ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে র্যাব ও পুলিশ অথবা র্যাব-পুলিশের যৌথ কর্তৃক। অধিকার-এর তথ্যানুযায়ী ২০১০ সালে প্রতি ৩ দিনে গড়ে ১ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। অধিকার-এর সংগৃহীত তথ্যানুযায়ী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ১২৭ জনের মধ্যে তথাকথিত ‘ক্রসফায়ার’-এ ১০১ জন, নির্যাতনে ২২ জন এবং গুলিতে ২ জন এবং ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে র্যাবের হাতে ৬৮ জন, পুলিশের হাতে ৪৩ জন, র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে ৯ জন, র্যাব-কোসগার্ডের যৌথ অভিযানে ৩ জন, র্যাব-পুলিশ-কোসগার্ডের যৌথ অভিযানে ৩ এবং বিডিআর-এর হাতে ১ জন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নির্যাতন
২০১০ সালে ৬৭ জন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এঁদের মধ্যে ১১ জন র্যাবের হাতে এবং ৫৬ জন পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৬৭ জনের মধ্যে ২২ জন নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
জেল ও বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে মৃত্যু
২০১০ সালে ১১০ জন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে ৬ জন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে থাকাকালীন ক্রসফায়ারে, ২২ জন নির্যাতনে এবং ১ জন গুলিতে মারা গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এই সময়ে ৬০ জন ব্যক্তি জেল হেফাজতে ‘অসুস্থতাজনিত’ কারণে মারা গেছেন। এ সময়ে ২ জন ব্যক্তি কোর্ট হেফাজতে, ২ জন থানায় এবং ১ জন র্যাব হেফাজতে মারা গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিডিআর বিদ্রোহের অভিযোগে আটক ১৫ জন বিডিআর সদস্য জেল ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে মারা গেছেন।
গুম
২০১০ সালে ১৬ জন ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভিকটিমের পরিবারগুলোর অভিযোগ উল্লিখিত ব্যক্তিকে সাদা পোশাকধারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা র্যাব ও পুলিশের পরিচয় দিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
রাজনৈতিক সহিংসতা
২০১০ সাল জুড়েই প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা ছিল ব্যাপক। প্রধান দল দুটি একে অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত থেকেছে। অধিকার-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় ২২০ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ৯৯৯ জন আহত হন। এ সময়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ৫৭৬টি এবং বিএনপির ৯২টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ৩৮ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৬১৪ জন আহত হন। অন্যদিকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ৭ জন নিহত ও ১ হাজার ১৪৬ জন আহত হন। এ সময়ে সভা-সমাবেশ বন্ধ করতে প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় ১১৪ বার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে।
নির্বাচনী সহিংসতা
অধিকার-এর তথ্যানুযায়ী ভোলা-৩ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনী সহিংসতায় ২১৮ জন আহত হন। এদের মধ্যে প্রাকনির্বাচনী সহিংসতায় ১০৯, নির্বাচনের দিন ৪৬ এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ৬৩ জন আহত হন বলে জানা গেছে।
হরতাল
২০১০ সালের জুন ও নভেম্বর মাসে বিএনপি তিনটি হরতাল আহ্বান করে। হরতাল চলাকালে বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে সারা দেশে হরতাল সমর্থকসহ ৩৫৫ জন আহত হন এবং পুলিশ ১৬৭ পিকেটারকে আটক করে। এছাড়া হরতালের আগের দিন হরতাল সমর্থনকারীরা যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা
২০১০ সালে সাংবাদিকরা বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন। এ সময়ে ৪ সাংবাদিক নিহত, ১১৮ সাংবাদিক আহত, ৪৩ জন লাঞ্ছিত ও ৪৯ জন হুমকির সম্মুখীন হন। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ১৭ সাংবাদিকের ওপর হামলা, ২ জনকে গ্রেফতার, ১ জন অপহৃত ও ১৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের অবস্থা
২০১০ সাল জুড়ে ছিল তৈরি পোশাক শিল্প কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা। শ্রমিকদের বকেয়া বেতন এবং ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার টাকার দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ৭ শ্রমিক নিহত এবং ২ হাজার ৫৩৮ শ্রমিক আহত হন। এসব ঘটনায় শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ, মোশরেফা মিশু, বাহারানে সুলতান বাহারসহ ২৫৯ শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএসএফের মানবাধিকার লঙ্ঘন
২০১০ সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত ছিল। ওই বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৭৪ বাংলাদেশীকে হত্যা করে। এদের মধ্যে ২৪ জনকে নির্যাতন এবং ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সময়ে ৭২ জন বিএসএফের হাতে আহত হয়েছেন। বিএসএফের হাতে আহত ৭২ জনের মধ্যে ৩২ জন নির্যাতিত ও ৪০ জন গুলিবিদ্ধ হন। একই সময়ে ৪৩ বাংলাদেশী বিএসএফের হাতে অপহৃত হয়েছেন।
নারীর প্রতি সহিংসতা
২০১০ সালে নারীর প্রতি সহিংসতা অব্যাহত ছিল। এ সময় বহু নারী ধর্ষণ, যৌতুক, এসিড সন্ত্রাস এবং যৌন হয়রানির শিকার হন। মূলত নারীর প্রতি সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, আইন ও বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা, ভিকটিম ও সাক্ষীর নিরাপত্তার অভাব, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুর্নীতি, নারীর অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দুর্বল প্রশাসন ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে নারী নির্যাতিত হন। ভিকটিম নারী বিচার না পাওয়ায় অপরাধীরা উত্সাহিত হয়েছে এবং গাণিতিকহারে সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে।
২০১০ সালে মোট ৫৫৬ নারী ও মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ২৪৮ নারী এবং ৩০৮ মেয়েশিশু। ওই ২৪৮ নারীর মধ্যে ৬১ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় এবং ১১৯ জন গণধর্ষণের শিকার হন। এছাড়া ২ নারী ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেন। ৩০৮ মেয়েশিশুর মধ্যে ৩০ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় এবং ৯৩ জন গণধর্ষণের শিকার হয়। এছাড়া ৪ মেয়েশিশু ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করে।
যৌতুক সহিংসতা : ২০১০ সালে ৩৮৭ নারী ও শিশু যৌতুক সহিংসতার শিকার হন। এদের মধ্যে ২৪৩ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয় এবং ১২২ জন বিভিন্নভাবে অমানবিক আচরণের শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময়ে ২২ নারী যৌতুকের কারণে নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।
যৌন হয়রানি : ২০১০ সালে ৩২৬ নারী যৌন হয়রানির শিকার হন। এদের মধ্যে ৭ জন বখাটেদের হাতে নিহত, ১২৯ জন লাঞ্ছিত বা আহত, ২৫ জন আত্মহত্যা, ৫ জন অপহৃত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১৪ পুরুষ যৌন হয়রানিকারী বখাটেদের হাতে আক্রান্ত হয়ে নিহত এবং ১২৭ জন আহত হন।
এসিড সহিংসতা
২০১০ সালে ১৩৭ জন এসিড সহিংসতার শিকার হন; এদের মধ্যে ৮৪ নারী, ৩২ পুরুষ এবং ২১ শিশু। এছাড়া ২১ শিশুর মধ্যে ১৬ মেয়েশিশু এবং ৫ ছেলেশিশু এসিডদগ্ধ হয়।
ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘন
২০১০ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২ জন নিহত এবং ২৪৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ২৩টি মন্দির ভাংচুর হয়েছে। অপরদিকে জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় ৬ জন নিহত এবং ১৪০ জন আহত হন।

No comments:

Post a Comment