Saturday 22 January 2011

সীমান্তে মানুষ হত্যায় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নিন্দা

স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন ও মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইকবাল এক বিবৃতিতে সীমান্তে বিএসএফ-এর অব্যাহত নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে তারা বলেন, কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে বিএসএফ নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। ফেলানীর মতো এভাবে প্রতিনিয়তই একের পর এক বাংলাদেশীদের হত্যা করা হচ্ছে। আওয়ামী মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিগত দুই বছরে প্রায় পৌনে ২শ’ বাংলাদেশী নাগরিককে ভারতীয় বিএসএফ নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু গত বছরই প্রায় ১শ’ মানুষকে হত্যা করেছে এই হানাদার ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। তারা আমাদের দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে। প্রতিনিয়ত নিরীহ নাগরিকদের ধরে হয় নির্যাতন না হয় হত্যা করছে। কেউ অন্যায় করলে তার বিচার হতে পারে। কিন্তু নির্মমভাবে পাখির মতো গুলি করে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার মাধ্যমে বিএসএফ সব ধরনের সীমান্ত আইন, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লংঘন করে চলছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিএসএফ এতটা নির্দয়, নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করে চললেও দেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সরকার এর কোনো প্রতিবাদ করছে না। এ থেকে প্রশ্ন জাগে আমরা কী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হারিয়েছি? আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করে পিণ্ডি থেকে দেশ স্বাধীন করেছি দিল্লির কাছে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার জন্য নয়। তারা বিএসএফ-এর এসব গর্হিত কর্ম এবং হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সরকার যাতে বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে কূটনৈতিক ফোরামে আলোচনাসহ প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে আহ্বান জানান।

No comments:

Post a Comment