ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কিশোরী ফেলানির লাশ গতকাল ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল সে।
শুক্রবার ভোরে ফুলবাড়ী সীমান্তে উত্তর অনন্তপুর হাজীটারী গ্রামের আন্তর্জাতিক পিলার ৯৪৭/৩ এস পিলারের পাশে তাকে আটক করে পাশবিক নির্যাতন শেষে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। গতকাল বেলা ১১টায় ওই সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশী মেয়ে ফেলানির লাশ হস্তান্তর করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টার এ পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিজিবি কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবদুল জব্বার ও ভারতীয় বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কোম্পানি কমান্ডার রাম ব্রিজ রায়।
জানা যায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা দক্ষিণ রামখানা গ্রামের নূরু মিয়া তার ষোড়শী কন্যা ফেলানিকে নিয়ে ভারতের আসাম থেকে গত শুক্রবার আসার সময় ৯৪৭/৩ এস আন্তর্জাতিক পিলারের ভারতীয় অভ্যন্তরে চৌধুরীহাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের নজরে পড়েন। নূরু মিয়া পালাতে সক্ষম হলেও ষোড়শী কন্যা বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। বিএসএফ ওই ষোড়শী কন্যাকে পাশবিক নির্যাতন শেষে ভোরবেলা গুলি করে হত্যা করে। সকালে তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। উল্লেখ্য, ফেলানির সঙ্গে তার আপন খালাতো ভাই লালমনিরহাট জেলার চরকুলাঘাট গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আমজাদ আলীর (২২) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আজ। কিন্তু পাষণ্ড বিএসএফ ফেলানিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দেয়নি।
No comments:
Post a Comment