Friday 31 December 2010

সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা নীরব ভূমিকায় : ভারতীয় লোকজন বাংলাদেশে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে



হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

ভারতীয় লোকজন বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে খর্প নদী থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তা দেখেও বিজিবি (বিডিআর) কোনো প্রতিবাদ করছে না। অথচ বাংলাদেশী লোকজন সীমান্তবর্তী ওই নদীতে মাছ ধরতে গেলে ভারতীয় বিএসএফ মারমুখী হয়ে বাধা দিচ্ছে। মাছ ধরতে গিয়ে গত ৭ দিনে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোলাপাড়া, সিঙ্গিমারী, বড়াইপাড়া, গেন্দুকুড়ি, দইখাওয়া, আমঝোলসহ গোটা জেলার সীমান্তে খর্প নদীর অবস্থান। ওই নদীর পশ্চিম ও দক্ষিণ তীর বাংলাদেশী ভূখণ্ড এবং পূর্ব ও উত্তর তীর ভারতীয় ভূখণ্ড। বাংলাদেশী লোকজন সীমান্তে মাছ ধরতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয় এবং অস্ত্র উঁচিয়ে তেড়ে আসে। অপরদিকে ভারতীয় লোকজন বিজিবির সামনেই বাংলাদেশী ভূখণ্ডে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বিজিবি বাধা দিচ্ছে না—এমন অভিযোগ সীমান্তবাসীর। সীমান্তবর্তী লোকজন অভিযোগ করেন, আমরা আমাদের জমিতে মাছ ধরতে বা ঘাস কাটতে গেলে বিএসএফের পাশাপাশি ভারতীয় লোকজনও বাধা দেয়। বিএসএফ অস্ত্র উঁচু করে গুলির হুমকি দিলে আমরা ভয়ে পালিয়ে আসি। অথচ ভারতীয় লোকজন বাংলাদেশী বিওপি ক্যাম্পের কাছে এসে মাছ ধরে ও ঘাস কেটে নিয়ে গেলেও কিছুই করে না। বিষয়গুলো বিজিবিকে জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। গত শুক্রবার সকালে গোতামারী গ্রামের গোলাম মোহাম্মদের ছেলে সাইফুল ইসলাম দইখাওয়া সীমান্তে মাছ ধরতে গেলে ভারতীয় বড় মরিচা ক্যাম্পের বিএসএফ বাংলাদেশে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে। এর দু’দিন পর বুড়িমারী সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ আলতাব হোসেনের ছেলে বেলাল হোসেন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আসলাম জানান, বিএসএফ গত ৭ দিনে ২ বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করে। ভারতীয় লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা কোনো ছাড় দিতে রাজি নই

No comments:

Post a Comment