স্টাফ রিপোর্টার
২০০৯ সালের শুরু থেকে আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতা সংগ্রামরত প্রায় ৫০ উলফা নেতাকর্মীকে আটকের পর ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন উলফা চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া, বোড়ো বিদ্রোহী নেতা রঞ্জন দাইমারি, মণিপুরি বিদ্রোহী নেতা রাজকুমার মেঘেন। এদিকে উলফার শীর্ষনেতা পরেশ বড়ুয়া অভিযোগ করেছেন, তার ছেলেকে বাংলাদেশে অপহরণ করা হয়েছে।
কলকাতা প্রতিনিধির উদ্ধৃতি দিয়ে অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজ জানিয়েছে, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সামরিক শাখার প্রধান পরেশ বড়ুয়া বৃহস্পতিবার ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে তার ছেলেকে বাংলাদেশে অপহরণের অভিযোগ করেছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার এ অভিযোগ সম্পর্কে তার অজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরেশ বড়ুয়া অভিযোগ করেন, তার কিশোর ছেলেকে যারা অপহরণ করেছে তারা ভারত সরকারের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য তাদের চাপ দিচ্ছে।
পরেশ বড়ুয়া বলেন, কিন্তু এতে কাজ হবে না। আসামের স্বাধীনতার লড়াইয়ে হাজার হাজার নারী-পুরুষ প্রাণ দিয়েছে, শহীদের ওই দীর্ঘ তালিকায় আমার ছেলের নাম যদি অন্তর্ভুক্ত হয় এবং যদি সেটা ঘটে তবে তার জন্য আমি প্রস্তুত আছি।
কিন্তু ছেলেকে কখন অপহরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি। তবে ঘটনাকে ‘একটি ভারতীয় ষড়যন্ত্র’ হিসেবে ইঙ্গিত করলেও কারা এর নেপথ্যে থাকতে পারে সে বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি।
বিবৃতিতে তিনি কিছু শীর্ষ উলফা নেতার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা এখন ‘যাবতীয় নীতিকথা বাতাসে উড়িয়ে দিচ্ছে’ এবং ভারত সরকারের সঙ্গে আপসের চেষ্টা করছে।
পরেশ বড়ুয়া এ ধরনের আপসকামিতার বিরোধিতা করে বলেন, আসামের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি প্রাধান্য না পেলে ভারতের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। তবে ভারত সরকার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
বলা হচ্ছে, উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোথাও আত্মগোপন করে আছেন। তার স্ত্রী ববি বড়ুয়া ওরফে সুফিয়া বেগম ও ছেলে তাহসিম বড়ুয়া ওরফে আকাশ খান ঢাকায় অবস্থান করছেন। ভারতের সঙ্গে সমঝোতা আলোচনায় রাজি হওয়ার পর আসামের কারাগার থেকে অনেক উলফা নেতাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
আসাম সরকার উলফা নেতা অরবিন্দ রাজখোয়ার জামিন আবেদনের বিরোধিতা না করায় খুব শিগগিরই তাকেও মুক্তি দেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর বাংলাদেশ থেকে আটকের পর রাজখোয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়
।
No comments:
Post a Comment