Tuesday 12 April 2011

চাতলাপুর স্থলবন্দরে পরিবহন শ্রমিকদের পিটিয়েছে বিএসএফ : প্রতিবাদে আমদানি-রফতানি বন্ধ













মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বিএসফের একটি দল মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থলবন্দরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে ৩ পরিবহন শ্রমিককে পিটিয়ে ও রাইফেলের বাঁট দিয়ে মেরে মারাত্মক আহত করেছে। এ সময় তারা ট্রাক শ্রমিকদের টাকা-পয়সাও ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা চাতলাপুর স্থলবন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থলবন্দরের ভারতীয় অংশের কৈলাসহরের বৌলাপাশা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে গতকাল দুপুরে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। বাংলাদেশের ট্রাক শ্রমিকরা জানান, এ সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্প কমান্ডার আর কে চাকমার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জনের বিএসফের একটি দল বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা বাংলাদেশী ইটবাহী ট্রাকচালক ফারুক মিয়া, আসিক মিয়া ও হেলপার মো. সেলিম মিয়ার ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। তাদের বেদড়ক পেটাতে থাকে। ট্রাক শ্রমিকদের অভিযোগে জানা গেছে, এই সময় দু’জন বিজিবি সদস্য বিএসএফকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে সহযোগিতা করে। তাদের সামনেই বাংলাদেশীদের মারধর করা হয়।
বিজিবি নায়েক জালাল উদ্দীন ও সদস্য বাবুল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ১৮৬৩ নম্বর সীমান্ত খুঁটির ওপারে ভারতীয় দুই ব্যবসায়ীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। বিষয়টি বুঝে উঠার আগেই বিএসএফ সদস্যরা অতর্কিতে বাংলাদেশ অংশেঢুুকে পড়ে এবং বাংলাদেশী তিন পরিবহন শ্রমিককে মারধর করতে থাকে। এ সময় বাংলাদেশী শ্রমিক ও বিএসএফের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে তিনি অসহায় শ্রমিকদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। পরে বিএসএফের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিএসএফের মারপিটে আহত বাংলাদেশী ট্রাকচালক ফারুক মিয়া ও আসিক মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা ভারতীয় এক ব্যবসায়ীর ইট জিরো পয়েন্টে নামানোর সময় আকস্মিকভাবে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। ট্রাকচালক ফারুক মিয়া জানান, ট্রাক শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য তিনি ও হেলপার মো. সেলিমের কাছে থাকা ২০ হাজার টাকা বিএসএফ সদস্যরা কেড়ে নিয়েছে।
দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে চাতলাপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন।
চাতলাপুর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এএসআই কবির হোসেন লোদী জানান, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম দুপুর থেকে বন্ধ করে দেয়া হলেও পরে বেলা ২টার পর তা আবারও চালু হয়। এ ব্যাপারে বিজিবি ১৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল নূরুল হুদা জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি তুলে ধরব

No comments:

Post a Comment