Sunday 27 March 2011

ফেলানী হত্যাকাণ্ড : লন্ডনে প্যাট্রিয়ট অব বাংলাদেশের সভায় সরকারের ভূমিকার নিন্দা

লন্ডন প্রতিনিধি

ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশের তরুণী ফেলানীর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য প্যাট্রিয়ট অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগকে বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক ন্যক্কারজনকভাবে নস্যাত্ করার প্রতিবাদে ‘প্যাট্রিয়ট অব বাংলাদেশ ইউকে’ পূর্ব লন্ডনের অজবর্ন স্ট্রিটের ক্লিফটন রেস্টুরেন্ট এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি শামসুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, হাফিজুর রহমান খান, মাওলানা রফিক আহমদ, কমিউনিটি লিডার আবদুুল হামিদ চৌধুরী, শামসুদ্দিন আহমেদ, অলিউর রহমান, হাফিজুর রহমান, কে এম হোসেন, কাজী মনসুর হোসেন, ব্যারিস্টার আনোয়ার আহমেদ চৌধুরী, এম. মোরশেদ, মো. মুজিবুর রহমান, মাওলানা আবদুল কাদের সালেহ, মাওলানা মুফতি সদরুদ্দিন, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, আর আহমেদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা ফেলানীর পরিবারকে সাহায্য করার উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করার জন্য হাসিনা সরকারের কঠোর সমালোচনা ও নিন্দাজ্ঞাপন করেন। সভায় উল্লেখ করা হয়, ফেলানীর আত্মা আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ যেন এক অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। বিএসএফ ঠাণ্ডামাথায় ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা ও তার লাশ কিছুদিন ঝুলিয়ে রেখে এই বার্তাই বাংলাদেশকে দিতে চেয়েছে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব স্রেফ ভারতের গুলির নিশানায়। ভারত তোষামোদকারীদের এটা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। সভায় ফেলানী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ সরকারের ঘৃণ্য ও নতজানু নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের সব মহলে স্মারকলিপি প্রদানসহ ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, ধিক্কার ও নিন্দা জানানোয় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয় এবং ফেলানী হত্যাযজ্ঞসহ ভারতের সর্বমুখী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে আরও সজাগ ও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সভায় প্যাট্রিয়ট অব বাংলাদেশ শাখার কর্মকর্তা ও সংগঠকদের তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ‘প্যাট্রিয়ট অব বাংলাদেশ’ হচ্ছে ‘প্যাট্রিয়ট অব বাংলাদেশ ইন ইউকে’র শাখা এবং এর সভাপতি হচ্ছেন শামসুল আলম চৌধুরী। সম্প্রতি এ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফেলানীর পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।

No comments:

Post a Comment